
কক্সবাংলা ডটকম(১৬ ডিসেম্বর) :: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক আনিস আলমগীর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে বলেছেন, আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, রাজনৈতিক বাধা আমাকে থামাতে পারবে না।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হয়। এসময় শুনানিতে সরকারের নীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন তিনি।
আদালতে আনিস আলমগীর বলেন, তালেবানরা আমাকে এরেস্ট করেছিল। তখনই মৃত্যুভয় দূর হয়ে গিয়েছিল। মাননীয় আদালত, আমি সাংবাদিক।
আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি। গত দুই যুগ ধরে আমি এটা করে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই। আগে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সরকারকে প্রশ্ন করেছি। বর্তমানে ইউনূস সরকারকে করছি।
ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদেরও আমি প্রশ্ন করবো। আমি হালুয়া-রুটি খাওয়া সাংবাদিক হতে চাই না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইউনূসের বাড়ি আক্রান্ত হবে, কেন বলেছি। ৩২-এর ভাঙার প্রতিহিংসা তো বহন করতে হবে।
১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে আওয়ামী লীগ যা করেছে, তা ভবিষ্যতে বড় ইভেন্টে কি প্রভাব ফেলবে তা ভাবায়।
‘ড. ইউনূস যদি চান সারাদেশকে কারাগার বানাবেন, বানাতে পারেন। যদি চান সারাদেশকে দোজখ বানাবেন, বানাতে পারেন।’
সাংবাদিক আনিস আলমগীর আদালতে আরও বলেন, প্যারিস ও নিউইয়র্কে বসে দুজন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তারা আমাকে ফেসবুকে পোস্ট করতে নিষেধ করেছে, টেলিভিশনে যেতে দেয়নি।
বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, আমার জব (কাজ) কারও কাছে নতজানু হওয়া না। আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটি তাদের সমস্যা।
এদিন শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত সাংবাদিক আনিস আলমগীরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রোববার সন্ধ্যার পর আনিস আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
সোমবার বিকেলে ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

Posted ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta